প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 04 Feb 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র বা সম্মুখ সমর ছিল একটা শেষের শুরু, যুদ্ধটা বঞ্চনার বিরুদ্ধে অধিকারের, সংস্কৃতিচর্চার অধিকার আদায়ের, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার, অসমতার বিরুদ্ধে গান কবিতা চলচ্চিত্র শিল্পকর্ম সংস্কৃতির উপাদানগুলো নিয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার। অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরের চেয়ে তাই বাঙালির মাথা না নোয়াবার সংস্কৃতি অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে, যে মুক্তির লড়াই এখনো এই প্রজন্মকে চালিয়ে যেতে হবে, কারণ মুক্তি আমাদের আসে নাই; স্বাধীনতার চার স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ আমরা এখনো প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে দেশকে এগিয়ে নেবার পথে পরবর্তী প্রজন্মের যারা কাজ করছেন তাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করা শিল্পীদের সাথে যুক্ত করে পরিকল্পনা করা হয়েছে এ বইটি।
১০টি শিল্পশাখার ২০ জন শিল্পী-সংস্কৃতিজনকে যুক্ত করে তাদের সাথে আলাপে বুঝে নেয়ার চেষ্টা ছিল সব শিল্পশাখা মিলে সামগ্রিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে কী, সেই চেতনা এখন কতটা বাঙালি বহন করছে আর কতটাই বা পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত করে দিতে পারছে! মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাম্প্রতিকতার যোগসূত্রের চিন্তাপ্রয়াস তাই সমরে সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ।
বরেণ্য যে গুণীজনেরা সমরে সংস্কৃতিতে মুক্তিযুদ্ধে আলাপ করেছেন তারা হলেন প্রয়াত বরেণ্য ভাষ্কর, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ও স্বেচ্ছ্বান্তরালে থাকা শামীম শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও শিল্পী শেখ আফজাল, আবৃত্তিশিল্পী সংগঠক সংস্কৃতিজন সৈয়দ হাসান ইমাম ও আবৃত্তিশিল্পী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, গীতিকার সুরকার চলচ্চিত্রজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও স্বাধীন বাংলা বেতারের গায়ক রফিকুল আলম, লেখক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী শাহরিয়ার কবির ও ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ ও উদীচীর সংগঠক সৈয়দা সঙ্গীতা ইমাম, মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া নৃত্যশিল্পী মিনু হক ও এ প্রজন্মের ওয়ার্দা রিহাব, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরী ও সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্রকার নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবীব ও সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। অডিওভিজ্যুয়াল আয়োজনটির প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মারজানা সাফাত, প্রাথমিকভাবে এর ধারণা-উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
Shimul Salahuddin- মূলত বিভিন্ন সময় নেন সাংবাদিক, সংগঠক, আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও তথ্যচিত্র নির্মাতার ভূমিকা। ২০১০ এর বইমেলায় শিরস্ত্রাণগুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু এই তরুণ কবির। তারপর পদ্মায় গড়িয়েছে বছর চারেকের জল। জীবনের বিচিত্রসব অভিজ্ঞতায় পরিণত, সংহত আর নিজের মধ্যে থিতু হয়েছেন কবি। ২০১২-তে সতীনের মোচড়-এর পর কবির তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ কথাচুপকথা...। শিমুল সালাহ্উদ্দিনের জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৮৪, ঢাকা জেলার উত্তরা থানার তুরাগ সাবথানাধীন, হরিরামপুর ইউনিয়নের ধউর গ্রামের মাতুলালয়ে। বড় হয়েছেন নিজেদের বাড়ি টংগী থানার মুদাফা গ্রামে। মা সেতারা বেগম, বাবা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। কবিতার পাশাপাশি মূলধারার সংস্কৃতিসহ বিচিত্র বিষয়ে লেখালেখি করেন। সম্প্রচার সাংবাদিক হিসেবে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে কাজ করছেন বছর তিনেক ধরে। বিধ্বস্ত অসুখী পৃথিবীকে কবিতার প্রলেপ লাগিয়ে সুস্থ করে তুলতে চান কবি।